পিরামিড (Pyramid) সম্পর্কে কিছু মজার অজানা তথ্য

পিরামিড (Pyramid) হলো এক প্রকার জ্যামিতিক আকৃতি বা গঠন যার বাইরের তলগুলো ত্রিভূজাকার (Triangular) এবং যারা শীর্ষে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়। পিরামিড একটি বহুভূজাকৃতি ভূমির উপর অবস্থিত।
বহুভূজের উপর অবস্থিত যে ঘনবস্তুর একটি শীর্ষবিন্দু থাকে এবং যার পার্শ্বতলগুলো প্রত্যেকটি ত্রিভুজাকার, তাকে পিরামিড বলে
পিরামিডের ভূমি যেকোনো আকারের বহুভূজ (Polygon) হতে পারে এবং এর পার্শ্বতলগুলো যেকোনো আকারের ত্রিভূজ (Triangle) হতে পারে। একটি পিরামিডের কমপক্ষে তিনটি ত্রিভূজাকার পার্শ্বতল (Triangular outer surfaces) থাকে, অর্থাৎ পিরামিডের ভূমিসহ কমপক্ষে চারটি তল থাকে। বর্গাকার পিরামিড (Square Pyramid) হলো এমন একটি পিরামিড যা একটি বর্গাকার ভূমির উপর অবস্থিত এবং যার চারটি ত্রিভুজাকার পার্শ্বতল আছে। এই ধরণের পিরামিডের বহুল ব্যবহার আছে।
পিরামিডের ডিজাইন এমনভাবে করা হয় যেব এর বেশি ওজন ভূমির নিকটে থাকে, ফলে এর আয়তনকেন্দ্র (Centre of volume) শীর্ষ হতে লম্ব দূরত্বের এক-চতুর্থাংশে অবস্থিত। মিশর বলতেই সবার মনে নিশ্চয়ই গিজা’র পিরামিডের চিত্র ফুটে ওঠে! এটি খুফু’র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। অথচ প্রাচীন মিশরে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭৫টি পিরামিড রয়েছে। তবে সেগুলো রাজধানী কায়রোর আশেপাশের এলাকায় অবস্তিত। আপনি কি জানেন, মিশরে অন্তত ১৩০টিরও বেশি এমন ঘরানার স্ট্রাকচার আছে? সত্যিই তাই। পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি বলে কৌতূহলীদের আনাগোনো চলতেই থাকে মিশরে। সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পিরামিড সচক্ষে দেখা ও এর সব অজানা রহস্য ভেদ করা। তবে অনেকেই জানে না চার স্তরবিশিষ্ট পিরামিডগুলোর ভেতরকার গুপ্ত তথ্য। বর্তমান যুগের প্রকৌশল আর স্থাপত্য শিল্পে আমরা যা দেখি তা নিতান্তই স্বাভাবিক। কিন্তু পিরামিডীয় যুগে যদি এসবের দেখা পাওয়া যায় তবে সেটা নিতান্তুই হবে ভৌতিক! কারণ আধুনিক সভ্যতার প্রযুক্তি তখনকার যুগে থাকার কথা না। যেমন, চাকা। ৯০ টন ওজনের পাথরের ব্লক এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়া চাকার সাহায্য ছাড়া খুবই কঠিন। তাঁদের কাছে ক্রেন সদৃশ কোনো যন্ত্র ছিল না, ছিল না লোহার জিনিস মসৃণ করে সূক্ষ্মভাবে তৈরি করার মত প্রযুক্তি। Khufu, সব থেকে বৃহৎ পিরামিড নির্মিত হয় ২৫৫০ খ্রিষ্টপূর্বে যার উচ্চতা ৪৫০ ফুটেরও বেশি। আর যে সকল পাথরের ব্লক দ্বারা নির্মিত হয়েছে সেগুলোর কথা তো উপরেই বললাম। এবং ৪৫০০ বছরের ঝড়, দুর্যোগ সহ্য করে এখনও টিকে আছে! অথচ এই পিরামিড গুলো এতটা সূক্ষ্মভাবে মাপজোখ নিয়ে নির্মিত হয়েছে, দেখে মনে হবে বর্তমান সময়ের কোনো কারিগর সেখানে সময় পরিভ্রমণ করে গিয়ে তৈরি করে দিয়ে আসছে! এত বিশাল পাথরগুলো কীভাবে দূর থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটা বের করতে গিয়ে কিছু গবেষক ধারণা করেন হয়তবা আদি মিশরীয়রা ওগুলোকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে টেনে নিয়ে এসেছে। যদিও তখন কোনো চাকা বা circular shape এর কোনো বস্তু ছিলনা তাও তাঁরা অনুমান করেছিলেন হয়ত গাছের শাখা কেটে সেগুলোতে রেখে টেনে নিয়ে এসেছে। মোটামুটি ছোটো বা মাঝারি আকৃতির পাথরের ব্লকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু বড় আকৃতির কিছু পাথরের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা একেবারেই অসম্ভব! কিন্তু এই থিওরীর আদৌ কোনো প্রমাণ আসলে নেই বা চিত্রকর্ম থেকেও টেনে পাথর নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো হদিস উল্লেখ করা হয়নি যে এ কাজটা এরকমই করা হয়েছিল। তারপর আসে এত ভারী পাথর নিরবচ্ছিন্নভাবে উঁচু হওয়া পিরামিডের উপরে তোলা। প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসবিদরা, যারা জন্মগ্রহণ করেন পিরামিড নির্মাণের শেষে, তাঁরা ভাবতেন মিশরীয়রা এ ক্ষেত্রে ঢালু কোনো তল ব্যবহার করত সিঁড়ির মতো যেটাকে বলা হয় ramp. কিন্তু গবেষকরা দেয়ালের ভেতর অদ্ভুত বাতাসের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা দেখে ভাবলেন যদি ramp থাকেও তা ছিল ভেতরের দিকে তাই বাহিরে সেটার অস্তিত্ব প্রমাণের কোনো লক্ষণ ছিলনা।
যাইহোক, দিনশেষে কোনো আইডিয়া বা যুক্তিই সমাধানের আলো দেখা পেল না।
পিরামিডের ডিজাইন এমনভাবে করা হয় যেব এর বেশি ওজন ভূমির নিকটে থাকে, ফলে এর আয়তনকেন্দ্র (Centre of volume) শীর্ষ হতে লম্ব দূরত্বের এক-চতুর্থাংশে অবস্থিত। মিশর বলতেই সবার মনে নিশ্চয়ই গিজা’র পিরামিডের চিত্র ফুটে ওঠে! এটি খুফু’র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। অথচ প্রাচীন মিশরে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭৫টি পিরামিড রয়েছে। তবে সেগুলো রাজধানী কায়রোর আশেপাশের এলাকায় অবস্তিত। আপনি কি জানেন, মিশরে অন্তত ১৩০টিরও বেশি এমন ঘরানার স্ট্রাকচার আছে? সত্যিই তাই। পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তম আশ্চর্যের একটি বলে কৌতূহলীদের আনাগোনো চলতেই থাকে মিশরে। সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পিরামিড সচক্ষে দেখা ও এর সব অজানা রহস্য ভেদ করা। তবে অনেকেই জানে না চার স্তরবিশিষ্ট পিরামিডগুলোর ভেতরকার গুপ্ত তথ্য। বর্তমান যুগের প্রকৌশল আর স্থাপত্য শিল্পে আমরা যা দেখি তা নিতান্তই স্বাভাবিক। কিন্তু পিরামিডীয় যুগে যদি এসবের দেখা পাওয়া যায় তবে সেটা নিতান্তুই হবে ভৌতিক! কারণ আধুনিক সভ্যতার প্রযুক্তি তখনকার যুগে থাকার কথা না। যেমন, চাকা। ৯০ টন ওজনের পাথরের ব্লক এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেয়া চাকার সাহায্য ছাড়া খুবই কঠিন। তাঁদের কাছে ক্রেন সদৃশ কোনো যন্ত্র ছিল না, ছিল না লোহার জিনিস মসৃণ করে সূক্ষ্মভাবে তৈরি করার মত প্রযুক্তি। Khufu, সব থেকে বৃহৎ পিরামিড নির্মিত হয় ২৫৫০ খ্রিষ্টপূর্বে যার উচ্চতা ৪৫০ ফুটেরও বেশি। আর যে সকল পাথরের ব্লক দ্বারা নির্মিত হয়েছে সেগুলোর কথা তো উপরেই বললাম। এবং ৪৫০০ বছরের ঝড়, দুর্যোগ সহ্য করে এখনও টিকে আছে! অথচ এই পিরামিড গুলো এতটা সূক্ষ্মভাবে মাপজোখ নিয়ে নির্মিত হয়েছে, দেখে মনে হবে বর্তমান সময়ের কোনো কারিগর সেখানে সময় পরিভ্রমণ করে গিয়ে তৈরি করে দিয়ে আসছে! এত বিশাল পাথরগুলো কীভাবে দূর থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটা বের করতে গিয়ে কিছু গবেষক ধারণা করেন হয়তবা আদি মিশরীয়রা ওগুলোকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে টেনে নিয়ে এসেছে। যদিও তখন কোনো চাকা বা circular shape এর কোনো বস্তু ছিলনা তাও তাঁরা অনুমান করেছিলেন হয়ত গাছের শাখা কেটে সেগুলোতে রেখে টেনে নিয়ে এসেছে। মোটামুটি ছোটো বা মাঝারি আকৃতির পাথরের ব্লকের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এরকম ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু বড় আকৃতির কিছু পাথরের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা একেবারেই অসম্ভব! কিন্তু এই থিওরীর আদৌ কোনো প্রমাণ আসলে নেই বা চিত্রকর্ম থেকেও টেনে পাথর নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো হদিস উল্লেখ করা হয়নি যে এ কাজটা এরকমই করা হয়েছিল। তারপর আসে এত ভারী পাথর নিরবচ্ছিন্নভাবে উঁচু হওয়া পিরামিডের উপরে তোলা। প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসবিদরা, যারা জন্মগ্রহণ করেন পিরামিড নির্মাণের শেষে, তাঁরা ভাবতেন মিশরীয়রা এ ক্ষেত্রে ঢালু কোনো তল ব্যবহার করত সিঁড়ির মতো যেটাকে বলা হয় ramp. কিন্তু গবেষকরা দেয়ালের ভেতর অদ্ভুত বাতাসের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা দেখে ভাবলেন যদি ramp থাকেও তা ছিল ভেতরের দিকে তাই বাহিরে সেটার অস্তিত্ব প্রমাণের কোনো লক্ষণ ছিলনা।
যাইহোক, দিনশেষে কোনো আইডিয়া বা যুক্তিই সমাধানের আলো দেখা পেল না।
Comments
Post a Comment