রেজিস্টর কি? চলুন বিস্তারিত জেনে নেই! | Resistor Explanation in Bangla
আজকের এই আরটিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয়গুলো হচ্ছে -
- রেজিস্টর কি?
- রেজিস্টেন্স কি?
- রেজিস্টরের প্রতীক ও একক কি?
- এর কাজ কি?
- রেজিস্টর কতো প্রকারের হয়?
আশা করি ভালো আছেন।আমি নওশাদ হোসেন রাহাত আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি রেজিস্টর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচানা।😊
তাই দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
# রেজিস্টর কি?
আমরা উপরের ছবির বস্তুটির সাথে অনেকেই কম বেশি পরিচিত। আর এটিই মূলত রেজিস্টর। যে কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কাজ করতে গেলে রেজিস্টর এর ব্যবহার কমবেশি হবেই।এটা ছাড়া কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কল্পনাই করা যায় না।
এমনকি সাধারণ বাজারের সস্তা টর্চলাইট থেকে শুরু করে দামি দামি ফ্রিজ,টিভি,কম্পিউটার পর্যন্ত আরো অনেক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলোতে রেজিস্টর এর ব্যবহার অত্যাবশ্যকীয়।
কিন্তু কি এবং কী এর কাজ সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব।😊
রেজিস্টর (Resistor ) মূলত একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ - রোধক বা বাধা প্রদাণকারী। এর নাম থেকেই বোঝা যায় যে এর কাজই হলো বাধা দেয়া। তবে এটা আমাদের বাধা দেয়না 😁 বরং এটি এমন এক ইলেকট্রিকাল ডিভাইস যা কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ বা তড়িৎ চলাচলে বাধা প্রদান করে। এটি দুই প্রান্তবিশিষ্ট।
# রেজিস্টেন্স কি?
আপনি যদি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়ে থাকেন তাহোলে অবশ্যই রোধ - এর সংজ্ঞা পরে থাকবেন।
অর্থাৎ - পরিবাহীর যে গুনের বা বৈশিষ্টের কারনে তার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বা চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় তাকেই "রোধ" বা রেজিস্টেন্স (Resistance) বলে।
# রেজিস্টরের প্রতীকসমুহ ও একক
উপরে গুগোল থেকে নেওয়া একটা ছবির মাধ্যমে আমি আপনাদের রেজিস্টর এর কিছু বহুল ব্যবহৃত প্রতীকগুলো দেখানোর চেষ্টা করলাম।
রেজিস্টর কে মুলত হিসেব নিকাশের ক্ষেত্রে R দিয়ে প্রকাশ করা হয়।এর একক হচ্ছে ওহম (Ω)।
# প্রকারসমুহ
রেজিস্টর মুলত ২ প্রকার।
১। ফিক্সড রেজিস্টর
- কার্বন কম্পোজিট
- কার্বন পাইল
- কার্বন ফিল্ম
- প্রিন্টেড কার্বন
- থিক এবং ফিল্ম
- মেটাল ফিল্ড
- মেটাল অক্সাইড ফিল্ড
- ওয়্যার উন্ড
- ফয়েল
- এডজাস্টেবল
- রেজিস্ট্যান্স ডিকেড বক্স
* ফিক্সড রেজিস্টরঃ
যেসকল রেজিস্টরের রোধ বা রেজিয়াটেন্স মান তৈরী করার সময়েই নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে এর পরিবর্তন সম্ভব নয়,তাদের ফিক্সড বা অপরিবর্তনীয় রেজিস্টর বলে।
* ভেরিয়েবল রেজিস্টরঃ
যেসকল রেজিস্টরের মান প্রয়োজন অনুসারে কম বা বেশি অর্থাৎ রোধের মানের পরিবর্তন করা যায়,তাদের ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনীয় রেজিস্টর বলে।
যেমনঃ বৈদ্যুতিক পাখার রেগুলেটর বা ভলিউম।
নিচে এদের একটা ছবি দেয়া হলো।
# রেজিস্টরের কাজ কি?
রেজিস্টর নামের অর্থ থেকেই অনেকটা বোঝা যায়,যে এর কাজ কি।এর কাজ হচ্ছে কোন তড়িৎ প্রবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ এর প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করা এবং বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ কে সেই অনুপাতে কমিয়ে আনা,যে অনুপাতে কোন একটা বৈদ্যুতিক যন্ত্রের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য ভোল্টেজ প্রয়োজন।এখন প্রশ্ন আসতে পারে ভোল্টেজ কমানোর প্রয়োজন কেন পরে? তাই এক্ষেত্রে আপনাকে একটা উদাহরন দিলে বেশ ভালো বুঝতে পারবেন।এই যেমন ধরুন আপনি বাজারে এক টাকা,দুই টাকার কিছু ছোট ছোট এল ই ডি বাতি পাবেন যেগুলোর ভোল্টেজ গ্রহনের মাত্রা ১.৫ - ৩ ভোল্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে।এখন কোনো কারনে যদি এই বাতির মধ্যে দিয়ে এর চাইতে বেশি পরিমানে ভোল্টেজ প্রবাহিত হয় তাহলে সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে যে বাতিটি নষ্ট হয়ে যাবে।
আর ঠিক এরকম ঝুকি এড়াতেই রেজিস্টর এর ব্যবহার করা হয়।কারন রেজিস্টর বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ঠিক ততোটাই ভোল্টেজ প্রবাহ করতে দেবে যতোটা তার গ্রহনের মাত্রা।আর এর চেয়ে বেসগি ভোল্টেজ প্রবাহিত হলে রেজিস্টর সেটা কমিয়ে বা ড্রপ করে দেবে।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেম যে রেজিস্টর কি এবং কতো প্রকার,এর কাজ কি ইত্যাদি।
আপনার যদি আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকে তাহোলে অবশ্যই এটি শেয়ার করবেন আপনার বন্ধুদেরও,যারা আপনার মতোই আগ্রহী।😊
আল্লাহ হাফিজ
nice
ReplyDelete