ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো? | How to start Blogging in Bangla?


আমি নওশাদ হোসেন রাহাত এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে কিভাবে আপনারা ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।তো চলুন তার আগে এক নজরে দেখে নেয়া যাক এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা কি কি শিখতে ও জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি থেকে যা যা শিখবেন

  • কিভাবে ব্লগিং করবেন?
  • ব্লগিং এর টপ ফ্রী + পেইড প্লাটফর্মগুলো কি কি?
  • প্রতিটা প্লাটফর্মের সুবিধা-অসুবিধাব্লগিং করতে কি টাকা লাগে কি না?
  • ব্লগিং থেকে টাকা আয় করা যায় কি না?


আচ্ছা চলুন এবার আলোচনায় যাই।তবে তার আগে আমি অণুরোধ করবো যেন আপনি আমার ব্লগিং সম্পর্কিত আগের পোস্ট টি পড়ে নেন।এতে আপনার মনে প্রশ্নোত্তর গুলো আরো পরিস্কার হবে।

আরো পড়ুনঃ

১। কিভাবে ব্লগিং করবেন?

আপনি যদি আগের পোস্টটি পড়ে থাকেন তবে নিশ্চয়ই জানেন যে ব্লগিং কি।তাও আবার ছোট করে বলি যে - ব্লগিং হচ্ছে মুলত ইন্টারনেটে থাকা কোনো ওয়েব পেইজে কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতামত বা তথ্য প্রকাশ/লেখালেখি করা।তবে ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্যটা কি সেটা উপরের লিংকে দেয়া পোস্টে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই - যে আপনি নিশ্চয়ই ফেসবুকের পেইজ এ কোন ব্যক্তিকে পোস্ট করতে দেখেছেন।এটাও কিন্তু ব্লগিং বলতে পারেন।

সুতরাং আপনিও চাইলেই ব্লগিং করতে পারেন।তবে তার আগে আপনি একটা বিষয় বেছে নিন যেই বিষয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি পারদর্শী এবং যে বিষয়ে আপনি বলতে ও লিখতে কখনো আটকাবেন না।তো যখন আপনি একটা নির্দিষ্ট বিষয় পেয়ে যাবেন লিখার জন্য তখন আপনার ব্লগিং করতে সবচেয়ে সুবিধা হবে এবং খুন দ্রুতই ভালো কিছু করতে পারবেন।

২। ব্লগিং এর প্লাটফর্ম গুলো কি কি?

তো প্ল্যাটফর্ম কি? প্লাটফর্ম হচ্ছে আপনাকে যেখানে একটা জায়গা দেওয়া হবে অর্থাৎ ইন্টারনেটে একটা পেজ আপনি পাবেন যেখানে লেখালেখি করার সুযোগ পাবেন। লেখালেখি করতে পারবেন।যেমন ধরেন অভিনয়শিল্পীরা সিনেমা বা চলচ্চিত্র জগতে অভিনয়  করেন তো মূলত ওটা হচ্ছে উনাদের প্ল্যাটফর্ম।এমন একটা ক্ষেত্র যেখানে আপনি যে কাজটা করতে যাচ্ছেন ঐ কাজটা করতে পারবেন।আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিচে আমি কিছু প্ল্যাটফর্মের তালিকা দিয়েছে যেখানে আপনারা ব্লগিং করার জন্য ওই নির্দিষ্ট জায়গাটা পাবেন।আমি যে প্লাটফর্মগুলোর সুবিধা অনুসারে ক্রমানুসারে সাজিয়েছি তা  না।আমি শুধু তার নামটা উল্লেখ করেছি।

আরো পড়ুনঃ

কোনটা ভালো কোনটা খারাপ আপনি নিচের বাকি বিস্তারিত পড়ে তারপর নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন আপনার জন্য সুবিধাজনক।কারণ আমি হুট করে একটাকে ভালো বা টপ বলে দিবো আর আপনি সেটা দেখে কাজে নেমে পরবেন।পরে গিয়ে দেখবেন হঠাৎ হয়তো আটকে পরেছেন।আমি নিচে এগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করব যে কোন প্লাটফর্ম এর কি সুবিধা অসুবিধা রয়েছে।আমি যতোটুকু সম্ভব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।আপনাদের যদি মনে হয় যে এটা ভালো বা ওটা ভালো তখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।


আমি এখানে আমার মতে আপনার জন্য যে যে প্লাটফর্মগুলো ব্লগিং করার জন্য সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য হবে সেগুলোই তুলে ধরেছি।তবে এছাড়াও পরবর্তীতে আপনারা আরো প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

১। Blogger.com


প্রথমে বলে নেই Blogger.com হচ্ছে Google একটা অংশ।একে Google কিনে নিজের মালিকানায় এনেছে অনেক আগেই। ব্লগার হচ্ছে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট জগতে ব্লগিং ক্যাটাগরির অর্থাৎ এই সম্পূর্ন ব্লগিং এর দ্বিতীয় বৃহত্তম প্লাটফর্ম।blogger.com ইউজ করার জন্য আপনার অবশ্যই একটা জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে।গুগলের যে Gmail একাউন্ট রয়েছে ওই একটা একাউন্ট আপনার দরকার।এছাড়া গুগলের blogger.com আমি ইউজ করতে পারবেন না।এই প্লাটফর্মটি আপনাকে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে একটা সাব-ডোমেইন দেবে তাও আবার (https://) সিকিউরড সাব-ডমেইন।অর্থাৎ একটা লিংক দেবে যেখানে আপনার ব্লগ টা হোস্টেড করা থাকবে।যেমন - (example.com) এটা হচ্ছে টপ লেভেল ডোমেইন আর (example.blogspot.com) এটা হচ্ছে সাব-ডোমেইন।এই বিষয়ে আমি অন্য একটা পোস্টে আলোচনা করবো।তো এই ব্লগারে আপনি চাইলে অনেকগুলো ব্লগ খুলতে পারবেন একটা সাব-ডোমেইন সহ।আপনি চাইলে এতে পরবর্তীতে ডোমেইন কিনেও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ টপ লেভেল ডোমেইন কেও ফ্রি তে দেয়না।কোডিং সম্পর্কে জানতে হবেনা।ব্লগ খোলার পর ওটাকে Google আপনা-আপনিই সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টিং করে নেবে।আপনাকে এস ই ও(SEO) করতে হবেনা।সাইটম্যাপ বানাতে হবেনা।আপনি শুধু লিখবেন আর উটাকে গুগল তার কোয়ালিটি অনুসারে সার্চ ইঞ্জিনে দেখাতে থাকবে।আর যেহেতু এটা গুগলের নিজের প্রোডাক্ট সেক্ষত্রে এটাই স্বাভাবিক যে অন্য প্লাটফর্ম গুলোর তুলনায় গুগল একেই আগে প্রাধান্য দেবে।তবে ব্লগারে সবই ফ্রি,এতে কখনো আপনাকে টাকা খরচ করতেই হবেনা।তাছাড়া আমি নিজেও Blogger.com ই ব্যবহার করি।


তবে ব্লগারে আপনাকে মাত্র ১২ কি ১৫ টার মতো টেম্পলেট বা রেডিমেড ডিজাইন দেবে।এদের মধ্য থেকে আপনি যেকোনটা ব্যবহার করতে পারবেন।আবার আপনি ভিজুয়াল এডিটর ব্যবহার করে আপনি ডিজাইন কাস্টমাআইজ করতে পারবেন। ব্লগার আপনাকে আপনার ব্লগের লেআউট এডিট করার সুযোগ দেবে অর্থাৎ আপনি চাইলে এডিট করতে পারবেন কাঠামো টা।আর পাশাপাশি আপনি চাইলে এইচটিএমএল বা জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা থাকে তাহলে আপনি এগুলা অ্যাড করতে পারবেন,গেজেট এড করতে পারবেন আপনার ব্লগে ল।আর আলাদাভাবে টেমপ্লেট এডিট করার সুযোগ আছে এডিট এইচটিএমএল অপশন আছে। 

অর্থাৎ ব্লগার হচ্ছে এক ধরনের c.m.s. অর্থাৎ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।আপনি অনেকটাই কন্ট্রোল আপনার নিজের হাতে পাবেন আপনার ব্লগটার ডিজাইন কাঠামো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।আর ব্লগার যেহেতু গুগল এর একটা অংশ তো এটার স্পিড খুবই ভালো।আপনাকে আনলিমিটেড স্পেস দেবে, ব্যান্ডউইথ দেবে। আর আবারও বলছি যে blogger.com এ আপনাকে কোন খরচই করতে হবে না বরংচ আপনি এর থেকে খুব সহজেই টাকা কামাতে পারবেন গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে।

২। Tumblr.com


Tumblr.com - এটা হচ্ছে অনেকটা blogger.com এর মতই একটা সিএমএস।আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন ও ব্লগ খুলতে পারবেন।এখানে আপনাকে একটা ফ্রি সাবডোমেইন দেওয়া হবে।এক্ষেত্রে ডোমেইম টা example.tumblr.com এরকম থাকবে।তো এটা প্রায় সুবিধা blogger.com এর মতই দেবে।আপনি কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন।এক্ষেত্রে আছে টেম্পলেট সিলেক্ট করতে পারবেন আর এইচটিএমএল এডিট করতে পারবেন।tumblr.com আপনাকে আলাদা করে এসইও করা লাগবেনা।গুগলে অটোমেটিক লিস্টেড হয়ে যাবে।আপনার ব্লগটা গুগল সার্চ রেজাল্টে আসবে।আবার আপনি চাইলে এটা বন্ধ করে দিতে পারেন যে আপনার ব্লগটা গুগোল রেজাল্ট আসবে না। আর tumblr.com গুগোল এর কোন অংশ না।এটা অন্য একটা প্ল্যাটফর্ম আর আরেকটা বিষয় হলো tumblr.com নিজেও একটা সোশ্যাল মিডিয়ার মত কাজ করে অর্থাৎ এর ভিতর আপনি দেখতে পারবেন যে যাদের যাদের tumblr.com এ ব্লগ রয়েছে তাদের সবার আপলোড করা বা লেখালেখি গুলো টাম্বলার ডট কম এ সরাসরি সার্চ করে আপনি পেয়ে যাবেন।


৩। Wordpress.org


 wordpress.org হচ্ছে একটা ওপেনসোর্স প্ল্যাটফর্ম।যেখানে আপনি শুধু ব্লগিং না ওয়েবসাইটও তৈরী করতে পারবেন।তবে মূলত wordpress.org আপনাকে কোন ডোমেইন দেবে না বা হোস্টিং দেবে না।এটা হচ্ছে ডাউনলোড করা যায় এমন একটা সিএমএস।আর ব্লগার,টাম্বলার এগুলো শুধুই ব্লগিং প্লাটফর্ম।সিএমএস এর মত কাজ করলেও সম্পূর্ণ সিএমএস না।কিন্তু wordpress.org সম্পূর্ণই একটা সিএমএস বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।আর যেহেতু এটা ডাউনলোড করে তারপর ব্যবহার করতে হয় তো আপনাকে প্রথমেই টাকা দিয়ে একটা ডোমেইন কিনতে হবে এবং পাশাপাশি একটা হোস্টিং কিনতে হবে যেখানে আপনি ভালো মানের স্পেস পাবেন অর্থাৎ অনলাইনে আপনাকে যে জায়গা দেবে যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটা স্টোর করে রাখবেন।আর wordpress.org আপনাকে শুধু তাদের সিএমএস ফাইল টা দেবে যেটা ডাউনলোড করার পর আপনাকে আপনার ওই অনলাইন স্টোরেজে যেখানে আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ হস্টিং নিয়েছেন সেখানে আপলোড করতে হবে এছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন না।আর যদিও wordpress.org আপনাকে কাস্টমাইজেশন করার বা কন্ট্রোল করার ক্ষমতা টা অনেক বেশি দেবে কিন্তু তারপরেও আমি রিকমেন্ড করব যে শুরুর দিকেই যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে চান তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন।কারণ খুব পরিপাটি করে হস্টিং কিনে,টাকা খরচ করে ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুললেন কিন্তু শেষে দেখবেন ভিজিটর নাই,পরে দেখবেন পুরাই মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছে।তবে wordpress.org তে আপনি আনলিমিটেড থিম পাবেন,তারপর প্রচুর প্লাগিন পাবেন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পাওয়ার বাড়ানোর জন্য,সিস্টেম বা ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করার জন্য তবে বেশি প্লাগিন ব্যবহার করলে আবার ওই আপনার ওয়েবসাইট টা স্লো হয়ে যাবে লোডিং করতে।আর ওয়েবসাইট বা ব্লগের লোডিং স্পীড যত কম হবে গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে র‍্যাংকিং ভালো হবে। আর যেহেতু আপনি নিজের টাকা দিয়ে হোস্টিং কিনবেন সেহেতু আপনার টাকার উপর ডিপেন্ড করবে বা নির্ভর করবে যে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের স্পিড কেমন হবে। অন্যান্য প্লাটফর্মে কিন্তু আপনাকে হোস্টিং কিনতে হচ্ছে না ওরা বেশ ভালো মানের ফ্রি এবং স্পিড সম্পন্ন হোস্টিং দিচ্ছে আপনার ব্লগের জন্য যদিও কাস্টমাইজেশন একটু কম দিচ্ছে আপনাকে।

৪। Wordpress.com


Wordpress.org এবং wordpress.com নাম দুটো একই রকম হলেও এবং এদের ব্র্যান্ড একই হলেও প্ল্যাটফর্ম দুটি সম্পূর্ণ আলাদা।কারণ wordpress.org আপনাকে ডাউনলোড করে কোন একটা হোষ্টিং এ আপলোড করতে হবে কিন্তু wordpress.com নিজেই আপনাকে হস্টিং দেবে।

একটা ফ্রি সাবডোমেইনও দেবে।কিন্তু wordpress.com এর ক্ষেত্রে আপনি সুবিধা খুবই কম পাবেন।যেমন টেম্পলেট ও প্লাগিন খুবই কম থাকবে।তারপর আপনি টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে আলাদা করে টাকা দিতে হবে।মানে একবার আপনি টাকা দিয়ে ডোমেইন কিনবেন পরে আবার সেটা এড করার জন্য wordpress.com কে আবার টাকা দিতে হবে বা চাইলে আপনি তাদের কাছ থেকেও ডোমেইন কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে গুগল এ সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে নিজে অ্যাড করতে হবে না বা এসইও করতে হবেনা।শুধু সেটিং-এ গিয়ে একটা অপশন আছে যে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স করতে পারবে কিনা সেটা অন করে দিলেই হয়ে যাবে।

৫। Facebook.com


ফেইসবুক নামটা শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তাইনা। যে ফেসবুকেও নাকি ব্লগিং করা যায় কথাটা সত্য।কারণ ব্লগিং তো হচ্ছে মূলত একটা ওয়েব পেইজে কোন নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন তথ্য বা মতামত বা প্রশ্ন-উত্তর ইত্যাদি লেখালেখি করা,প্রকাশ করা,এটাই তো তাই না।ফেসবুক সম্পর্কে তো আপনি আমি সবাই বেশ ভালোই পরিচিত।ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা হিসাব করার মতো না।পরিমাণটা আমারও জানা নেই।তবে ধারণা করা যায় যে প্রচুর পরিমাণে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা রয়েছে দুনিয়াতে।তো আপনি চাইলে ফেসবুকে  কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটা পার্সোনাল অথবা বিজনেস পেইজ খুলে নিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ

আর আপনার পছন্দের বিষয় অনুযায়ী পেজটার একটা নাম দিয়ে create করে ফেলতে পারেন।তো তারপর আপনার পেইজে একটা সুন্দর background বা cover photo দিলেন আর সামনে একটা প্রোফাইল ফটো দিয়ে আপনার যে বিষয়টিতে আপনি পারদর্শী,বেশ ভাল জানেন,অন্যদের জানাতে পারবেন এরকম বিষয় নিয়ে যখন প্রতিদিন লেখবেন এটাও কিন্তু ব্লগিং হচ্ছে।আর এটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনাকে আলাদা কোন হোস্টিং কিনতে হচ্ছে না অর্থাৎ টাকা খরচের কোন ঝামেলাই নেই।আর আপনি আপনার লেখালেখি গুলো পড়ার জন্য প্রচুর পাঠক পাবেন অর্থাৎ ফেসবুক ইউজার সংখ্যা বেশি।তো আপনি যে বিষয়ে লিখতেছেন ওই বিষয়ে যদি ফেসবুকে ইউজার এর সংখা বেশি থাকে তাহলে আপনার লেখাটা অনেক মানুষই পড়বে। আর আপনার ফেসবুক পেইজ খোলার পর অটোমেটিক্যালি গুগলে এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে এড হয়ে যাবে।যত আপনার পেইজের পপুলারিটি বাড়বে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পেজ তত বেশি সো হবে।আর সমস্যা শুধু এই যে আপনি কোন টপলেভেল ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন না। আর পেজের ডিজাইন গুলো খুবই সীমিত মাত্র চারটা কি পাঁচটা ট্যাবলেট রয়েছে অর্থাৎ কাস্টমাইজেশন করা যায় না বললেই চলে খুব কমই করা যায় তবে যেহেতু এত বড় একটা সোশ্যাল মিডিয়ার আন্ডারে আপনি ব্লগিং করতেছেন তো এটা আপনার জন্য খুবই ভালো অপরচুনিটি।আর এ আপনি টাকাও উপার্জন করতে পারবেন।যেমন আপনার পেইজে যখন পপুলারিটি বাড়বে তখন এমন কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা উনাদের প্রোডাক্টের সাথে ম্যাচ করে এরকম পপুলার পেজগুলোতে তাদের অ্যাড দিবে আর এর জন্য আপনাকে টাকাও দিবে।


৩। ব্লগিং করতে টাকা লেগে কি?

উপরের আলোচনার মাধ্যমে আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ব্লগিং করতে আসলেই টাকা লাগে কি লাগে না। তারপরও আবার বলি যে ব্লগিং করতে মূলত কোন টাকার প্রয়োজন হয় না।টাকা তখনই লাগবে যখন ওই যে যেমন ওয়ার্ডপ্রেস যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে হোস্টিং তো কিনতেই হবে ওই ক্ষেত্রে হোস্টিং কিনার জন্য টাকা লাগে আবার টপ লেভেল ডোমেইন কিনতেও টাকা লাগে।

৪। ব্লগিং করে কি টাকা আয় হয়?

হ্যাঁ বন্ধু আপনি ব্লগিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।তবে আপনি যদি প্রথমেই ব্লগিং শুরু করার সময় চিন্তা করেন যে আপনি টাকা উপার্জন করবেন এই জন্য ব্লগিং করবেন তাহলে একটা বড় ভুল করবেন।কারণ আপনি ব্লগিংয়ে তখনই উপরে উঠতে পারবেন যখন আপনার চিন্তাভাবনা এরকম থাকবে যে আমি অন্যকে ভালো জিনিস দেবো অর্থাৎ অন্যরা যাতে আমার ব্লগ থেকে ওনাদের সমস্যার সমাধান টা পায়।কারন মানুষ ইন্টারনেটে কখনোই আপনার ব্লগটা খুঁজবে না বা আমার ব্লগটা খুঁজবে না বরং উনারা কিন্তু ইন্টারনেটে এই জন্যই আসবে যাতে উনাদের সমস্যা সমাধান পায়। আর যখন আপনার অডিয়েন্স রা আপনার ব্লগে এসে ওনাদের সমস্যা সমাধান পাবে তখন আপনার ব্লগে ওনারা বেশি বেশি আসতে চাইবে। এতে আপনার ব্লগের পপুলারিটি বাড়বে।সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনাকে রেজাল্টের উপরের নাম্বারগুলোতে দেখানোর চেষ্টা করবে আপনার ব্লগকে।তো এতে করে গুগল এডসেন্স আপনার ব্লগে এড দেবে এবং আপনি টাকা পাবেন।আবার আপনি অন্য কোন কোম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থাৎ উনাদের প্রোডাক্টগুলো কে প্রমোট করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।


তো আশাকরি সম্পূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে কিভাবে আপনি ব্লগিং শুরু করবেন এবং কি কি খেয়াল রেখে ব্লগিংটা শুরু করতে হবে।

তো যদি পোস্ট টি পড়ে আপনি কিছু শিখতে পারেন,কিছু জানতে পারেন এবং যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে পোস্টটি শেয়ার করবেন।

আরো পড়ুনঃ

Comments

  1. খুবই ভালোভাবে বুঝিয়েছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ

    ReplyDelete

Post a Comment