C++ "Hello World!" প্রোগ্রাম তৈরী করুন Android মোবাইল দিয়ে!
আসসালামু আলাইকুম। আমি নোশাদ হোসেন রাহাত আজকে আপনাদের দেখাবো কিভাবে আপনারা android মোবাইল দিয়ে একটি C++ হেলো ওয়ার্ল্ড (Hello World!) programme তৈরী করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে C/C++ প্রোগ্রামিং কীভাবে করবেন তা বিস্তারিত জানতে আমার এই টিউটোরিয়াল টি পড়ুন 👇🏽
মোবাইলে প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা যেকোনো ধরনের কোডিং (Coding) করার জন্য যে কীবোর্ড ব্যাবহার করবেন সেটা নিচের টিউটোরিয়াল থেকে দেখে নিতে পারেন 👇🏽
যেই android app টি দিয়ে আপনি মোবাইলে C/C++ প্রোগ্রামিং করতে পারবেন সেটি প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
তারপর ইন্সটল করে app টা ওপেন করুন।তারপর নিচে আমি একটা স্ক্রিনশট দিয়েছি আর তার পাশাপাশি আমি C++ প্রোগ্রামটির source code ও দিয়ে দিয়েছি। আপনি চাইলে কোডটা কপি করে অথবা দেখে দেখে সেই কোডটা ওই অ্যাপ্লিকেশনে পেস্ট করে রান করবেন তাহলে আপনি একটা সাধারণ C++ "Hello World!" প্রোগ্রাম তৈরী করতে পারবেন।
আর আমি আবারো বলছি যদি আপনি এই এপ্লিকেশান টি দিয়ে কিভাবে মোবাইলে সি প্লাস প্লাস প্রোগ্রামিং করা যায় সেটা না বুঝে থাকেন, তাহলে আমি উপরে যে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি সেই টিউটোরিয়ালটি থেকে আপনি দেখে নিবেন যে কিভাবে মোবাইলে সি বা সি প্লাস প্লাস প্রোগ্রামিং করা যায় একদম অফলাইনে।
তাহলে আপনার এই টিউটোরিয়ালটি বুঝতে সুবিধা হবে আর এই সিপ্লাস্প্লাস এর প্রোগ্রামটিও তৈরী করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ 👉🏾👉🏾 বাংলায় প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও কম্পিউটার বিষয়ক ফ্রী ও পেইড বিভিন্ন কোর্স এর পাশাপাশি থাকছে সার্টিফিকেটও।😃👇🏽

C++ কোডঃ
#include<iostream>using namespace std;int main(){cout << "Hello World!";return 0;}
Output : Hello World!
উপরের কোডের #include<iosream> অংংশটি হচ্ছে হেডার ফাইল, যা কোনো C/C++ প্রোগ্রাম রান হবার পূর্বে প্রি-প্রসেস হয় যার দরুন প্রোগ্রামে কিছু ফাংশন যুক্ত হয়, যা ঐ হেডার ফাইলে তৈরী করা থাকে। উদাহরণসরূপঃ উপরের কোডের লাল রঙ্গের লেখা cout একটি ফাংশন যা iostream নামক হেডার ফাইলে রয়েছে। এই ফাংশনটি দ্বারা আমরা কম্পিউটারের স্ক্রীনে লেখা প্রিন্ট করতে পারি। হেডার ফাইল সবসময় প্রোগ্রামের একদম শুরুতে ইনক্লুড বা যুক্ত করতে হয় এবং এর নিয়ম হচ্ছে #include<HEADER_FILE_NAME>
হেডার ফাইলগুলো কখনো প্রোগ্রামের বাকি কোডগুলোর মতো কম্পাইল হয় না, শুধু হেডার ফাইলের ফাংশন ও ভ্যারিয়েবলগুলো ব্যাবহার করা যায়।
আবার using namespace std; দ্বারা কম্পাইলারকে বলা হচ্ছে যে আমি যে ফাংশনগুলো ব্যাবহার করছি তা কোন শ্রেণীভুক্ত। অর্থাৎ namespace হচ্ছে এক একটা শ্রেণীর মতো যাতে বিভিন্ন ফাংশন থাকে। নেমস্পেস ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে আমরা অনেক সময় একটা প্রোগ্রামে অনেকগুলো হেডার ফাইল ব্যবহার করে থাকি। আর সকল হেডার ফাইলেই বিভিন্ন নামের ফাংশন থাকে। এক্ষেত্রে অনেক সময় দুইটা হেডার ফাইল এর দুইটা আলাদা আলাদা ফাংশন এর নাম একই রকম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এরকম সমস্যা এড়ানোর জন্যই আমরা namspace গুলো ব্যবহার করে থাকি আর সে ক্ষেত্রে আমরা namespace গুলো এইভাবে উপরে লিখি না বা declare করি না বরং যে ফাংশনটা আমরা ব্যবহার করব সেটার আগে কোন namespace এর ফাংশন ব্যবহার করছি সেটার নাম যুক্ত করে লিখি এটার উদাহরণ এরকম std :: cout এখানে std হচ্ছে namespace এবং cout হচ্ছে সেটার অন্তর্ভুক্ত একটা ফাংশন।
int main(){ CODE } এটি হচ্ছে মেইন ফাংশন। প্রত্যেকটা সি/সি++ প্রোগ্রাম রান হবার জন্য একটা এবং কেবল একটা মেইন ফাংশন থাকা আবশ্যক। প্রোগ্রাম রান হবার সময় এই মেইন ফাংশনটাই সবার আগে রান হয়। আর main হচ্ছে ফাংশনের নাম এবং এর আগে থাকা int হচ্ছে এই ফাংশনের রিটার্ন টাইপ অর্থাৎ যখন এই ফাংশনটা রান হবে তখন এটা প্রোগ্রামকে কোন ধরনের ভ্যালু রিটার্ন করবে সেটা বলে দিতে হয়। এখানে int দ্বারা integer বা পূর্ণ সংখ্যা বোঝাচ্ছে।
একটি ফাংশনের সব { কোড } এই দুই বন্ধনীর মধ্যে লিখতে হয়।
cout হচ্ছে iostream হএডার ফাইলে থাকা std namespace এর অন্তর্ভুক্ত একটা ফাংশন যার মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের স্ক্রীনে কোনো লেখা প্রিন্ট করাতে পারি। এটি মুলত একটি ব্যাতিক্রমধর্মী ফাংশন। এই ফাংশনের দ্বারা কোনো লেখা প্রিন্ট করাতে << এই চিহ্ন অর্থাৎ গ্রেটার দ্যান চিহ্ন দুইবার লিখতে হয়।
আর একাধিক লেখা প্রিন্ট করাতে এভাবে লিখতে হয়ঃ
std :: cout << "My name is : " << "Nowshad and age is : " << 99;
Output : My name is : Nowshad and age is : 99;
আমি যেখানে সেমিকোলন (;) দিয়েছি সেখানে অবশই সেমিকোলন দিতে ভুলবেন না। নয়তো প্রোগ্রামে error দেখাবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তারপর return 0; এই অংশটির দ্বারা আমরা প্রোগ্রামকে বলছি যে যখন মেইন ফাংশন রান হয়ে যাবে তখন যেন শূন্য ফেরত দেয় যার মানে হচ্ছে যে main function যথাযথভাবে রান করতে পেরেছে। আর যদি শূন্য ফেরত না বা 0 return না করে দেয় তাহলে প্রোগ্রাম সেখানেই রান হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং error দেখাবে।
আশা করি প্রোগ্রামটা আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এরকম আরও নতুন নতুন প্রোগ্রামিং শিখতে আমার ব্লগের নিয়মিত পোস্টগুলো পড়ুন।
পারলে পোস্টটা শেয়ার করুন Twitter বা WhatsApp এ।
Comments
Post a Comment